দোয়ারাবাজারের আলীপুর থেকে নূরপুর কাঁচা রাস্তাটির কারণে দুর্ভোগে কয়েক হাজার মানুষ
- আপলোড সময় : ০২-১১-২০২৫ ০৯:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০২-১১-২০২৫ ০৯:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর বাজার থেকে নূরপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি এখন কাদা আর জলাবদ্ধতায় একেবারে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুকনো মৌসুমেও এই সড়কটি ধুলোবালি ও খানাখন্দে ভরা থাকে আর বর্ষা এলেই রূপ নেয় হাঁটুসমান কাদামাটির মাঠে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা কয়েক হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আলীপুর-নূরপুর সড়কটি দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্যতম প্রধান সংযোগ সড়ক। সুরমা ও লক্ষ্মীীপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে উপজেলা ও জেলা সদরে আসা-যাওয়া করেন। কানলার হাওরপাড়ের চাষকৃত মাছ, সবজি ও কৃষিপণ্য জেলা শহরে বাজারজাত করতেও এই সড়কের ওপরই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত দু’দিনের বৃষ্ঠিতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পর্যন্ত কাদা জমে রয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, মোটরসাইকেল কিংবা হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে না। কাদা মাড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে চলাচলই একমাত্র উপায়। এতে প্রতিদিনই স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির দিনে ঘর থেকে বের হওয়াই যেন একপ্রকার যুদ্ধ।
নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা সদরে যেতে এই সড়কের কোনো বিকল্প নেই। এমনিতেই সারাবছর কাদা থাকে, বর্ষায় এই রাস্তা পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে কাদা মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানাচ্ছি, কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না।
মুহিবুর রহমান মানিক সোনালী নূর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, সোনাপুর, নূরপুর ও নন্দীগ্রামের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে আসতে এই সড়ক দিয়ে। কাদার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। কাদায় হেঁটে আসা যাওয়া করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বইপত্র নষ্ট হয়, কাপড়চোপড় ময়লা হয়ে যায়। অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে হলেও দ্রুত এই সড়কটি পাকা করা উচিত।
আলীপুর গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহিম জানান, এই সড়ক পাকা না হওয়ায় আমাদের যে কী পরিমাণ কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয় তা এদিক দিয়ে না গেলে বুঝানো যাবেনা। সড়কে কাদা থাকায় আমাদের এলাকায় উৎপাদিত মাছ ও সবজি জেলা সদরে বাজারজাত করতে পারিনা। সড়কটি পাকা করা গেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মৎস্যচাষী, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ আলীপুর থেকে নূরপুর পর্যন্ত এই সড়কটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
এলজিইডি’র দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পাকাকরণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এই সড়কটির জন্যও প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি